• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮ | আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বিচারক ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) সাবেক ভিপি নুরুল হক।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে অ্যাফিডেভিট (হলফনামা) দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘অ্যাফিডেভিটে আমরা সন্তুষ্ট নই।’ পরে নুরুল হকের আইনজীবী সময়ের আরজি জানালে আদালত আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

এর আগে নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক আপত্তিকর বক্তব্য দেন। বিষয়টি উপস্থাপিত হলে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ নুরুল হকের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন। বিচারক ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে নুরুল হককে ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হন। সেদিন নুরুল হকের আইনজীবী অ্যাফিডেভিট (হলফনামা আকারে লিখিত বক্তব্য) দাখিল করবেন বলে সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন রাখেন।

সে অনুসারে আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। তাঁর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আদালতে হাজির ছিলেন নুরুল হক। তাঁর বক্তব্যও শোনেন আদালত।

অ্যাফিডেভিট আকারে দেওয়া লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ শুনানিতে তুলে ধরেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, নুরুল হক নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এটি গ্রহণ করে তাঁকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানান এই আইনজীবী।

একপর্যায়ে আদালত নুরুল হকের বক্তব্য শুনতে চান। ডায়াসের সামনে এলে তাঁকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনি ডাকসুর ভিপি ছিলেন। ভিপি নুরুল হিসেবে পরিচিত। এই পৃথিবীতে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে এ ধরনের কথা বলতে শুনেছেন? আপনি রাজনীতি করেন, চর্চা করেন—এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। এমন বক্তব্য পৃথিবীর কোথাও কেউ দিয়েছে?’ তখন নুরুল হক বলেন, ‘জানা নেই।’

এরপর নুরুল হকের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। মানুষমাত্রই ভুল হতে পারে।’ আদালত বলেন, ‘অডিয়েন্স হঠাৎ উত্তেজিত হতে পারে। নেতার কাজ কি তা আরও উসকে দেওয়া, নাকি তাদের ঠান্ডা করা।’

একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘ভবিষ্যতে করবেন না—অঙ্গীকার দেখছি না। এই অ্যাফিডেভিটে সন্তুষ্ট নই।’ জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সময় দিলে তা দিয়ে দেব।’

সমাবেশে নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানিতে বলেন, উনি (নুরুল হক) যে ভাষায় বলেছেন, সে জন্য যতটুকু অনুতপ্ত ও অনুশোচনা থাকা দরকার, তার ন্যূনতম এই অ্যাফিডেভিটে নেই। এটি যান্ত্রিক।

একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘ফারদার (আরেকটি) অ্যাফিডেভিট দায়ের করলে ভালো হয়।’ তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তিন সপ্তাহ সময় চান। এরপর আদালত আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

আদালত,আইন ও আদালত,ভিপি নুরুল হক নুর,গণ অধিকার পরিষদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close