মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মধু মিয়া তালুকদার ওরফে মো. মধু মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারী) ধানমন্ডির মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আব্দুল হান্নান খান বলেন, মধু মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ এধরনের ৫টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আসামি মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও মধু বাহিনী নামে একটি রাজাকার দল গঠন করে বলে সাক্ষীদের থেকে জানা যায়। তখন এই আসামি রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পলাতক থাকেন।

১৯৭৬ সালে গ্রামে ফিরে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি হিসেবে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি ভলিউমে ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক, তদন্ত কর্মকর্তারা।

পিবিডি/জিএম/ওএফ