২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। তবে এসময় আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলার রায়সহ প্রায় ৩৭ হাজার তিনশ ৮৫ পাতার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নথি হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। নথির মধ্যে এই হত্যা মামলার রায় ৩৬৯ পৃষ্ঠা এবং বিস্ফোরক আইনের মামলার রায় ৩৫৬ পৃষ্ঠার। আর অন্যান্য নথির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দি, যুক্তিতর্ক, আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য, আদালতে দেওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি, ট্রাইব্যুনালে দেওয়া আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের হাজিরা ও দরখাস্ত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মামলা দুইটিতে রায় ঘোষণা করেন। সে হিসেবে রায় ঘোষণার ৪৮ দিন পর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হলো।
মামলা দুটির রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রায়ে তিন সাবেক আইজিপিসহ ১১ সরকারি কর্মকর্তার বিভিন্ন মেয়াদের লঘুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
পিবিডি/মিশু