• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

প্রকাশ:  ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
নয়াপল্টনে এক বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ের দিকে আসছেন। তবে পুলিশের বাধায় বেশিদূর যেতে পারেননি তারা।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় এক বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

একদিন পরেই সমাবেশ হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের তৃণমূল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আসছেন। নিউজবাংলাকে কয়েক নেতা-কর্মী বলেন, সকালে নয়াপল্টনে এসেছেন তারা। তবে পুলিশের বাধার কারণে নাইটিঙ্গেল মোড়েই তাদের থেমে যেতে হয়।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রদলের এক কর্মী জানান, তারা বুধবারই নয়াপল্টনে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা ফের শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে এসেছেন।

টঙ্গী মাজুখান থেকে বিএনপি কর্মী সোহাগ নয়াপল্টনে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নয়াপল্টনে এসেছি। কিন্তু আমাদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।’

সোহাগ বলেন, ‘আমরা ১৫-২০ জন মিছিল নিয়ে আসার সময় আমাদের সঙ্গে থাকা এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তখন গলিতে ঢুকে গেলে অন্যদের আর ধরতে পারেনি পুলিশ।’

নেত্রকোনা থেকে নয়াপল্টনে এসেছেন ছাত্রদলের এক নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বার্তা আছে, আমরা এখানেই সমাবেশ করব।’

কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি নেতারা। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠ অথবা কমলাপুর স্টেডিয়ামের মধ্যে যেকোনো একটি জায়গায় সমাবেশ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাহলে তারা নয়াপল্টনে কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হাইকমান্ড আমাদের যেখানে সমাবেশ করার নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেখানেই করব।’

মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মনোতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। তাদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মিছিল থেকে আমরা একজনকে আটক করেছি।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির বিভাগীয় ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর যে সমাবেশটি ঢাকায় ডাকা হয়েছে, সেই সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে বুধবার নয়াপল্টন হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।

বিএনপি শনিবারের সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে যেতে রাজি না হয়ে অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার কথা জানায় বিরোধী দলটি। বুধবার সকাল থেকে সেখানে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে চলতে থাকে বক্তব্য। দুপুরের পর সামনের সড়কে অবস্থানকারী নেতা-কর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

বিএনপি কর্মীদের ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ ব্যবহার করে কাঁদানে গ্যাস আর রাবার বুলেট। একজনের প্রাণহানির পর ৩০০ জনকে করা হয় আটক, যাদের মধ্যে আছেন ১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে দেশ চালানোর ঘোষণা দেওয়া আমান উল্লাহ আমান ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী।

সন্ধ্যায় তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুলিশ। তল্লাশিতে ককটেল উদ্ধারের কথাও জানানো হয়। রাতে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দ্বিতীয় দিনও বিএনপি কার্যালয়ে চলে অভিযান।

নয়াপল্টন,বিএনপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close