• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কালাজ্বর শনাক্তে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি ঢাবি গবেষকদের

প্রকাশ:  ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাণঘাতী রোগ কালাজ্বর শনাক্তে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্ভাবনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিম।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ থেকে কালাজ্বর শনাক্তের ফলাফল পেতে সাতদিন লেগে যায়। তবে তাদের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট (ফলাফল) পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিতে প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, কালাজ্বর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি উপেক্ষিত রোগ। বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে কালাজ্বরের প্রকোপ আছে। এ রোগের সংক্রমণ এতটাই গুরুতর হয়ে থাকে যে চিকিৎসা করানো না হলে এতে মৃত্যু ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বলেন, আগে এ রোগ নির্ণয়ে রক্তের ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জা, যকৃৎ, প্লীহা ও লিম্ফ নোডের টিস্যু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। প্রথমটিতে রোগনির্ণয়ে নির্দিষ্টতা কম, অন্যটিতে টিস্যু সংগ্রহের সময় মারাত্মক রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আছে। উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতিটিতে উল্লেখযোগ্য সংবেদনশীলতা ও নির্দিষ্টতা পাওয়া গেছে। কালাজ্বর শনাক্তে প্রস্রাবের নমুনা ব্যবহার ভারতীয় উপমহাদেশে এই প্রথম করা হলো। গবেষণার ফলাফল বিশ্বখ্যাত পিএলওএস গ্লোবাল পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরে কালাজ্বর নির্মূলে এ গবেষণা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, তাদের উদ্ভাবিত রিয়েল টাইম পিসিআরভিত্তিক এই মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে কালাজ্বর শনাক্তকরণের একটি রোগীবান্ধব পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব, যা রোগীর দ্রুত চিকিৎসা ও রোগ নিরাময়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিতে প্যাথলজিস্টদের কাজের চাপ কমবে। এ পদ্ধতির ব্যবহার বাংলাদেশকে কালাজ্বর নির্মূলের দিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রস্রাবের নমুনা ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে যে উল্লেখযোগ্য সংবেদনশীলতা ও নির্দিষ্টতা পাওয়া গেছে, তা রক্ত বা আরও জটিল নমুনা যেমন অস্থিমজ্জা বা প্লীহার নমুনাভিত্তিক কালাজ্বর নির্ণয়পদ্ধতিকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে বলে জানান মনজুরুল করিম।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

গবেষক,দাবি,উদ্ভাবন,কালাজ্বর,শনাক্ত,পদ্ধতি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close