• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সেন্সর বোর্ডে ‘ওপেনহেইমার’ থেকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কাটছাঁটের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ দর্শকরা

প্রকাশ:  ২৬ জুলাই ২০২৩, ০২:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

চার দিন আগে মুক্তি পেয়েছে হলিউড নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের পরিচালিত সিনেমা “ওপেনহেইমার”। হলিউডের ধর্মঘটের মধ্যেও বায়োগ্রাফিকাল থ্রিলার ঘরানার ছবিটি বক্স অফিসে ভালোই সাড়া ফেলেছে। ভারতেও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে “ওপেনহেইমার” মুক্তি পেয়েছে।

এ সিনেমায় সিলিয়ান মারফি এবং ফ্লোরেন্স পুগের একটি আপত্তিকর দৃশ্য নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সিনেমায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতার একটি বাক্য পড়ার দৃশ্য থাকায় ভারতীয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে। অন্যদিকে, আপত্তিকর দৃশ্যের অভাব থাকায় দর্শকরাও অসন্তুষ্ট।

“ওপেনহেইমার” মুক্তির আগে শোনা যাচ্ছিল, সিনেমায় ১৫ মিনিটের একটি ঘনিষ্ঠ রয়েছে। এমনকি সেই দৃশ্যটিকে খুব শক্তিশালী বলেও এক দৈনিকে উল্লেখ করেছিলেন সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সিলিয়ান মারফি।

তবে প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার পর দর্শকরা অবাক হয়ে দেখেন, “ওপেনহেইমার” সিনেমা থেকে সেই দৃশ্যটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ, সিনেমাটি কঠোরভাবে সেন্সর করা হয়েছে। এমনকি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় বড়পর্দা অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। এছাড়া, অনেক সিজিআইয়ের মাধ্যমে অনেক দৃশ্য সেন্সর করা হয়েছে বলেও দাবি অনেকের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইটারে এক ব্যবহারকারী পোস্ট করেন, “হায়, তারা ‘ওপেনহেইমার'কে অতিমাত্রায় সেন্সর করেছে। যখনই একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য আসছে, পর্দা কালো হয়ে যায়। আপত্তিকর শব্দগুলোকে মিউট করে সাবটাইটেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সত্যিই ভারতীয় দর্শকদের শিশু হিসেবে বিবেচনা করছে।”

আরেক ব্যবহারকারী বলেন, “ভারতে সিনেমাটি ‘আর' রেট দেওয়া হয়নি। বরং একে ‌‘পিজি-১৩' রেটিং দেওয়া হয়েছে। ছবিতে ফ্লোরেন্স পুগের একটি নগ্ন দৃশ্য রয়েছে, যেখানে সিজিআইয়ের (গ্রাফিক্স এফেক্ট) মাধ্যমে তার শরীর তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।”

‍“আর” রেট বলতে বোঝায়- আপত্তিকর দৃশ্য আছে এমন কোনো ছবি অনূর্ধ্ব ১৭ বছর বয়সী কেউ একা দেখতে পারবে না। আর দেখলেও তার সঙ্গে অভিভাবক থাকতে হবে। অন্যদিকে “পিজি-১৩” রেটিংয়ের কোনো কন্টেন্ট অনূর্ধ্ব-১৩ বছর বয়সী কেউ সিনেমাটি একা দেখতে পারবে না।

সিনেমাটি মুক্তির আগে ১৫ মিনিটের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকার গুঞ্জন নিয়ে উপহাস করে এক ব্যবহারকারী বলেন, “‘ওপেনহেইমার'-এ ১৫ মিনিটের যৌনদৃশ্য থাকার গুঞ্জন কে তুলেছিল? দৃশ্যটি এতই দ্রুত ছিল যে, পর্দায় কখন এলো আর কখন শেষ হলো, বুঝতেই পারলাম না।”

সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, মনোবিজ্ঞানী জিন ট্যাটলার (ফ্লোরেন্স) ওপেনহেইমারকে একটি বই থেকে কিছু লাইন পড়তে বলে। ট্যাটলারের চাপে বিভ্রান্ত ওপেনহেইমার সেই বই থেকে পড়েন- “এখন, আমি মৃত্যুতে পরিণত হয়েছি, বিশ্বের ধ্বংসকারী।” প্রচ্ছদটি পর্দায় অস্পষ্ট থাকায় বইটি কীসের তা পুরোপুরি বোঝা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেটি সংস্কৃত ভাষায় লেখা।

সেন্সর বোর্ড,ওপেনহেইমার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close