• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিমর্ষ মাহি বললেন, এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না

প্রকাশ:  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

জয় বা পরাজয় যা-ই হোক, নির্বাচনের পরদিন শোডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে সেই কথা তিনি রাখেননি।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের সময় নির্বাচনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে শোডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘‘ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের সঙ্গে আছি।’’

ভোটযুদ্ধে জেতা হয়নি। হয়নি মাহির শোডাউন। যদিও এই চিত্রনায়িকা এলাকা ছেড়ে চলে যাননি। জাতীয় নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে কথা বলতে অনাগ্রহী মাহি জানালেন তার পরবর্তী পরিকল্পনার কথা।

এই চিত্রনায়িকা বলেন, “এখনো এলাকায় রয়েছি। অনেক কিছু নিয়ে কথা থাকলেও সেগুলো বলতে চাই না। মানুষের কাছে গিয়েছি, তাদের সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাকে ভালোবেসেছেন। ফেসবুকে অনেককিছুই দেখেছি।”

মাহি আরও বলেন, “এখান থেকে তো আর হুট করে যেতে পারব না। এলাকায় সবকিছু গোছগাছ করতে কদিন সময় লাগবে। তারপর ঢাকায় ফিরব। পরে কী করব, সেসব নিয়েই পরিকল্পনা করছি। একটু ঠিকঠাক করে গুছিয়ে নিচ্ছি।” ট্রল না করার অনুরোধ

এদিকে, পরাজয়ের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহিকে নিয়ে একটি পক্ষ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ভিডিও নির্মাণ করছে। এসব ভিডিওতে মাহিকে নিয়ে ঠাট্টা করা হচ্ছে।

সেগুলো নজরে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব নিয়ে আর নতুন করে কী বলব? আমার অভ্যাস আছে। ট্রল তো নিয়মিতই আমার সঙ্গে হয়। কিন্তু একটা কথা বলব, মানুষকে এভাবে ট্রল করা ঠিক না। একটা মেয়ে হয়ে নির্বাচন করেছি।”

ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও নির্মাতাদের উদ্দেশে অভিনেত্রী মাহির অনুরোধ, “এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না প্লিজ। আপনারা, আপনাদের কাছের কেউ নির্বাচন করলে তখন বুঝতে পারবেন, এটা কতটা কঠিন।”

মাহিয়া মাহি বলেন, “আমি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি, মানুষের কষ্টের কথাগুলো শুনেছি। এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের জন্য করার অনেক কিছু আছে। আমি যদি সুপ্রিম পাওয়ার পাই, তাহলে বৃহৎ পরিসরে তাদের সহযোগিতা করতে পারব। আর না পেলেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের সহযোগিতা করব।”

মাহিয়া মাহি বলেন, “একটা বিষয় শেখার আছে। পাঁচ বছর জনগণের কাছাকাছি গেলে, তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে না। আমি যেহেতু প্রচারণার সময়টা কম পেয়েছি, এর মধ্যেও যথেষ্ট মানুষের কাছে গিয়েছি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক নারীদের উপস্থিতি বেশি। ভোট দিতে আসার জন্য নারীদের একটা উচ্ছ্বাস কাজ করছে।” বিজয়ী প্রার্থীর প্রতি ক্ষোভ কমেনি মাহির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই চিত্রনায়িকা পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। সেই হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন মাহিয়া মাহী।

নির্বাচনের পরে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে মাহি বলেন, “তিনি তো জমিদার সাহেব। তার সঙ্গে আমার যুদ্ধ, তিনি কেন আমাকে ফোন করবেন? তিনি আসলে সেরকম নন।” হারাচ্ছেন জামানত

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহির জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। জামানত ফিরে পেতে হলে নির্বাচনি এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১২.৫% ভোট পেতে হয়। ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাহি পেয়েছেন মাত্র ৪.৯% ভোট।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামার সিদ্ধান্ন নেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।

রাজশাহী,মাহিয়া মাহি,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close