মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে টিকটক লাইট, চিন্তিত ইইউ
ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক লাইটে ভিডিও দেখে পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে। ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি-না, তা খতিয়ে দেখছে ইউরোপিয়ান কমিশন।
সম্পর্কিত খবর
গত মাসে এই তথ্য জমা দিতে না পারায় কমিশন টিকটককে এমন নির্দেশ দেয়। কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, “এটা নিশ্চিত করছি যে, আমরা টিকটকের উত্তর পেয়েছি।”
ইউরোপিয়ান কমিশন এখন তাদের এই উত্তরের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।
ফ্রান্সে ও স্পেনে চালু হওয়া টিকটক লাইট মূল টিকটকের সীমিত সুবিধাযুক্ত অ্যাপ। ফোনে কম মেমোরি ব্যবহারের পাশাপাশি ধীরগতির ইন্টারনেটেও চলে এটি।
অ্যাপে কাটানো সময়ের বিনিময়ে পাওয়া “রিওয়ার্ড” পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন দোকান বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ভাউচার অথবা উপহার কার্ড কিনতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
এই চীনা মালিকানায় থাকা অ্যাপটির রিওয়ার্ড কীভাবে আসক্তিতে পরিণত হবে না এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর কেমন ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর- তা অ্যাপ প্রকাশের আগেই জানতে চায় ইউরোপিয়ান কমিশন।
এছাড়া, কমিশন তদন্ত করে দেখছে, অ্যাপটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডিজিটাল পরিষেবা আইন ভঙ্গ করেছে কি-না।
এই আইন অনুযায়ী, সব বড় মাপের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে তাদের “সম্ভাব্য ঝুঁকি” খতিয়ে দেখতে হয়।
ইউরোপিয়ান কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন বলেন, ‘‘ছোট, দ্রুত ভিডিওর অনিঃশেষ ধারায় টিকটক মানুষকে নিজের পরিচিত গণ্ডির বাইরের দুনিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার একটি মজাদার উপায় দেয়। কিন্তু তার সাথে আসে ঝুঁকিও, বিশেষ করে আমাদের সন্তানদের জন্য। যেমন, আসক্তি, ভয়, অবসাদ, খাবারের অনিয়ম, মনযোগের অভাব।”
এক বিবৃতিতে টিকটক জানায়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকছে না টিকটক লাইটের ব্যবহার। আর যেসব ভিডিও থেকে রিওয়ার্ড আসে সেগুলো যত খুশি দেখতে পারবেন না ব্যবহারকারী। তাতেও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে দৈনিক সর্বোচ্চ ভিডিওর সংখ্যা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা এই সিদ্ধান্তে অখুশি, যেখানে বলা হচ্ছে যে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য টিকটক লাইট রিওয়ার্ডস হাব চালু হচ্ছে না। পাশাপাশি দিনের ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।”
ডিজিটাল পরিষেবা আইনের আওতায় ঝুঁকি মূল্যায়নে টিকটকের কমতি ধরা পড়লে কমিশন তাদের পুরো বিশ্বে আয়ের ৬% সমমূল্যের জরিমানা করতে পারে।