Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে। এই প্রবাদকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন দুই প্রযুক্তি ‘জায়ান্ট’। একজন অ্যাপল সিইও টিম কুক। অন্যজন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মার্ক জুকারবার্গ। দুই কর্তাই অন্য সংস্থার পণ্য ব্যবহার নিষেধ করেন। আর এই দুইয়ের মধ্যে পড়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ‘টেকস্যাভি’ আমজনতা৷
অ্যাপলের আইফোন যেমন স্মার্টফোন দুনিয়ায় বিশেষ কৌলিন্যের অধিকারী, তেমনই ফেসবুক বর্তমানে প্রযুক্তিপ্রেমিক থেকে আমজনতার সামাজিকতার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। আর এই দুই ‘টেক-জায়ান্ট’ বর্তমানে জুজুধান দুই পক্ষ। দু’জনেরই অভিযোগ, অন্য পক্ষ গ্রাহকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে অন্য সংস্থা। গ্রাহকদের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।
মাস কয়েক আগে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডে ফেসবুক গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে তোপ দেগেছিলেন অ্যাপলের সিইও। তার কটাক্ষে বিদ্ধ করেছিলেন ফেসবুক সিইওকে। ফেসবুক কর্তাও অবশ্য গান্ধীবাদী নন। তাই টিম কুকের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন তিনিও। পাশাপাশি সংস্থার ম্যানেজমেন্ট স্তরে থাকা সব কর্মীকে আইফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন জুকারবার্গ। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করা হয়েছে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে নিজের সংস্থার হয়ে সওয়াল করার কথা ছিল জুকারবার্গের। তার আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক টেলিভিশন শোয়ের উপস্থাপকরা কুককে প্রশ্ন করেছিলেন, এই রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় তিনি কী পদক্ষেপ করতেন? উত্তরে অ্যাপল কর্তা তাচ্ছিল্যের সুরে জানান, অ্যাপলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
গ্রাহকতথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা অ্যাপলের মূল মন্ত্র। পাশাপাশি তির্যক সুরে তিনি জানান, ফেসবুক হল এমন এক সোশ্যাল মিডিয়া যা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত জীবনে উকি দেয় ও নজরদারি চালায়। তাই আমজনতার উচিত ফেসবুককে বয়কট করা।
কুকের মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুকারবার্গ। কুককে ‘বাচাল’ বলে মন্তব্য করে তার দাবি, এই অভিযোগের সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের ইতিহাসে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেও দাবি করেন তিনি।
তার মতে, এর ভিত্তিতে ফেসবুকের সামগ্রিক বিচার করা নিতান্তই মূর্খের কাজ। একই সঙ্গে তার দাবি, আইফোনে গ্রাহকরা কোনও তথ্য গোপন রাখতে পারেন না। আর তার সুযোগ নিয়েই গ্রাহকদের ব্ল্যাকমেল করে অ্যাপল। তাই অবিলম্বে অ্যাপল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
/অ-ভি