• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইলিশ রপ্তানি আর বাড়ানো ঠিক হবে না: মৎস্যমন্ত্রী

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইলিশ রপ্তানি আর বাড়ানো ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমার অভিমত দেশের সব মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করুক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বেশ কিছু দেশে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি হয় ভারতে, সেখান থেকে বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে। হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশ দেয় তাহলে অবশ্যই সেটি মেনে চলতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের রপ্তানি এভাবে হয়নি, এবার যে পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে। এবার অধিকাংশ রপ্তানি ভারতে হয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য কয়েকটি দেশেও ইলিশ গেছে। সেগুলো উপহার কিংবা ব্যক্তিগতভাবে গেছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। আগে ইলিশ পাওয়াই যেত না এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। এখন ইলিশ অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে, আমার মনে হয় ৬৪টি জেলার সর্বত্র ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

‘দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ইলিশ পৌঁছানোর আমাদের একটি লক্ষ্য আছে। কর্মসূচি সফল করতে পারলে ইলিশ সবার কাছে পৌঁছাবে। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ইলিশ রপ্তানি বাড়ানো আর ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, দেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ দশমিক ২২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে এর অবদান শতকরা ১ ভাগ। প্রায় ৬ লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি এবং ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ ইলিশ পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি প্রভৃতি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় নিয়ে ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় ২২ দিন করা হয়েছে।

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ সমৃদ্ধ এলাকার জেলেদের জীবনধারণের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চলতি বছর জাটকা ধরা নিষিদ্ধকালে দেশের ২০ জেলার ৯৭টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি হারে ফেব্রুয়ারি-মে পর্যন্ত ৪ মাসের জন্য ৫৯ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ২০২২ সালে সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে সমুদ্র উপকূলীয় ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ২৬ হাজার ৮৩ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, গত ১২ বছরে দেশে ইলিশ আহরণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ সময়ে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার প্রায় ৯০ শতাংশ। এ বছর জেলেদের জন্য ভিজিএফয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করে পরিবার প্রতি ২০ কেজি থেকে ২৫ কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

রপ্তানি,ইলিশ,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী,শ ম রেজাউল করিম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close