৮ এপ্রিল ছাত্র অধিকার দিবস পালনের ঘোষণা
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্বতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়েছিল পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এই যৌথ হামলার ঘটনাকে স্মরণ করতে দিনটি ‘ছাত্র অধিকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা এই ঘোষণা দেন।
সম্পর্কিত খবর
সমাবেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা গত বছরের ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানের সময় পুলিশ-ছাত্রলীগের যৌথ হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা আন্দোলনকারীদের হয়রানি করতে তাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এসময় ডাকসুর ভিপি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, রাষ্ট্র সেদিন নিপীড়কের ভূমিকায় ছিল। সেদিন গুরুদুয়ারার সামনে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তারাই আবার উপাচার্যের বাসায় ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাতে চেয়েছিল। সেই তদন্ত এখন পর্যন্ত উন্মোচন করেনি। কারণ কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে। নীরবে-নিভৃতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যে পুলিশের হামলা তার প্রতিবাদে আমরা ৮ এপ্রিল ছাত্র অধিকার দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করব। এর মাধ্যমে আমরা এটাই প্রতিবাদ হিসেবে জানাতে চাই যে, ছাত্র সমাজের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে পুলিশের যে বর্বর হামলা এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এবং ছাত্র সমাজ কখনোই সরকার বা পুলিশ-প্রশাসন থেকে এমন হামলা আশা করে না।
সমাবেশ শেষে তারা একটি মৌন মিছিল নিয়ে শাহবাগের গণগ্রন্থাগারের সামনে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশ করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
পিবিডি-এনই