• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত ২৫ এপ্রিল

ডিনামাইটে একঘণ্টায় ধসে পড়বে বিজিএমইএ ভবন: গণপূর্ত মন্ত্রী

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:২৩ | আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনটি ম্যানুয়াল নয়, ডিনামাইট ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তিতে ভাঙা হবে ।

তিনি বলেন, সমরাস্ত্র নয় নির্মাণ ভাঙার ডিনামাইট ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙা হবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এমনভাবে ভবনটি ভাঙা হবে যে একঘণ্টার মধ্যে ভবনটি সেখানেই দুমড়ে-মুচড়ে দেবে যাবে। এতে আশপাশের কোনো ক্ষতিও হবে না।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

শ. ম রেজাউল করিম বলেন, ভবনটি ভাঙতে আমরা পত্রিকায় টেন্ডার আহ্বান করেছি। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দরপত্র দাখিলের শেষ দিন, এরপর ২৫ এপ্রিল চূড়ান্ত হবে কোন প্রতিষ্ঠান ভবন ভাঙার কাজ করবে। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান না পাওয়া যায় তাহলে রাজউক নিজেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবনটি ভেঙে ফেলবে।প্রয়োজনে বিদেশিদের ভাড়া নিয়ে এসে ভবনটি ভাঙবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এমন প্রযুক্তি আছে যা দিয়ে দ্রুত ভবনটি ভেঙে ফেলা যাবে। সময় হলেই তা দেখা যাবে। তবে কোনো ভাবেই মাস অতিক্রম হবে না। তিন মাসের মধ্যে ওই এলাকায় পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।

ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবনটি ভাঙার কারণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই কাজের জন্য সিভিল এভিয়েশনই যথেষ্ট। ভবনটি ভাঙার সময় আশপাশের এলাকার কোনো ক্ষতি যেন না হয়, সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

হাতিরঝিলের মতো সুন্দর একটি জায়গায় বিজিএমইএ ভবনটি বিষফোঁড়া হয়ে ছিল উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, এই ভবনটি যে এখানে গড়ে উঠেছিল, সেটি তৎকালীন সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে সবার ব্যর্থতা। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভবনটি দখল নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের ইউটিলিটি সংযোগ (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ভবনের সব প্রতিষ্ঠানসহ ভবনটিকে সিলগালা করা হয়েছে।

বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার এই ঘটনার মাধ্যমে সরকার স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এই ভবন ভাঙার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করা হচ্ছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এর মাধ্যমে আমরা সবাইকে জানাতে চাই, অবৈধ স্থাপনা যেগুলো আছে, সেসব পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা বা ভেঙে ফেলা হবে।

উল্লেখ্য,মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলগালা করার পর বিজিএমই ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভবনের ভেতরে এখনও বহু প্রতিষ্ঠানের মালামাল রয়েছে।যা সরিয়ে নিতে আরও সময় চায় প্রতিষ্ঠানগুলো।

পিবিডি/জিএম

বিজিএমইএ ভবন,গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী,শ ম রেজাউল করিম,সচিবালয়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close