• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা হয়তো সম্ভব হবে না: কর্নেল অলি

প্রকাশ:  ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদ।

রোববার (২ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২৩ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্পর্কিত খবর

    অলি আহমেদ বলেন, আজকে যে বাছাই ছিল সেখানে বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় ৮০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি বলবো, এটা বিরোধী দলকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, তাদের (সরকারি দল) জয়লাভের পথটা এগিয়ে রেখেছে। এভাবে হলে বিরোধী দলে আমরা যারা আছি, আমাদের পক্ষে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা হয়তো সম্ভব হবে না।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ ৮০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো ছিল একই ধরনের। যেমন, অনেকে মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তার রিসিভ কপি মনোনয়নপত্রে সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। পদত্যাগ গ্রহণ করবেন কী করবেন না এটা সরকারের ব্যাপার, এই অজুহাত দেখিয়ে অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অনেকে ঋণ খেলাপি বলে বাতিল করেছে। আদৌ তারা কখনও ঋণ নেননি, অথচ খেলাপির তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির মহাসচিব প্রায় ছয়শো’র ওপরে স্বাক্ষর করেছেন। দুই-একটা দস্তখত এদিক- ওদিক বা বাঁকা হতেই পারে। এই অজুহাতেও মনোনয়নপত্র বাদ দেওয়া হয়েছে।

    এলডিপি সভাপতি বলেন, আমরা জাতির কাছে ওয়াদা করেছিলাম, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। সেই অনুযায়ী ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নমিনেশন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নমিনেশন জমা দেবার পূর্বে ও পরে জোটের অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলা দেখিয়ে জেলে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, যাতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে।

    কর্নেল অলি বলেন, আমরা নির্বাচনে আছি। এখন প্রার্থী যদি না থাকে তাহলে কাকে নিয়ে নির্বাচন করবেন? ইতোমধ্যে তো ৮০ জন নেই। সরকার তো কাউকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। প্রতিদিন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচেছ।

    দেশে নির্বাচনের পরিবেশ মোটেও নাই বলে দাবি করে ২০ দলীয় জোটের এই নেতা বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। এভাবে ভয়ভীতি ও গ্রেফতার হলে আপনারাই বলুন, আমরা কীভাবে নির্বাচন করবো। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা চাই।’

    নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে ২০ দলীয় জোটের নেতা বলেন, কমিশনের কাছে আমরা ১৩টি পয়েন্ট নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা গ্রহণও করেছিল। কিন্তু অদ্যাবধি কোনও বিষয়ে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কমিশনের কোনও ক্ষমতা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারা বোধহয় পোস্ট অফিসের কাজ করছে। সরকার আদেশ দিচ্ছে, তারা সেটা পালন করছে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।

    সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া বৈঠক প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে। অলি আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান মুফতি মো. ওয়াক্কাস, মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, জাগপা মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, ডিএল-এর মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।

    /আরাফাত

    কর্নেল অলি আহমদ
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close