• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পিতা হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল পুত্র

প্রকাশ:  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সেফটি ট্যাংক থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালাম (৫২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। নিহতের ছেলে হাসান ও তার বন্ধুরা মিলেই ঘটিয়েছে এ হত্যাকাণ্ড।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ছাগলনাইয়া থানায় সাংবাদিকদের সামনে সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় ছেলে হাসান। তার দাবী তার বাবা আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের প্রায় নির্যাতন করতো। এই জন্য বন্ধু দিয়ে ভয় লাগাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে হালকা আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সে আরো বলে, এতো হালকা আঘাতে তার বাবার মৃত্যু হবে সেটা ভাবতে পারেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সেফটি ট্যাংক থেকে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছেলে হাসানকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে হাসানের আরেক বন্ধুকে আটক করা হয়।

কালামের বোন জরিনা আখতার জানান, শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাত থেকে নিখোঁজ হন ভাই আবুল কালাম। বৃহস্পতিবার ঘরের পাশে দুর্গন্ধ পান তিনি। এসময় পাশের ঘরের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সামান্য ফাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও সেফটি ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে বিকেলে লাশ উদ্ধার করে।

জরিনা আখতার আরো বলেন, তার ভাই নিহত আবুল কালাম অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য (কুক) ছিলেন। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। ১ম স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় রেখা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ও শেষে ঢাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ২য় স্ত্রী রেখার সাথে বাড়ীতে বসবাস করেন।

গত দু’বছর আগে আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে স্বাভাবিক আচরণ করতেন না। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেন না। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ করেও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজের দিন দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। আবুল কালাম পশ্চিম মধুগ্রাম মিদ্দা বাড়ীর মৃত সামছুল হকের ছেলে।

পিবিডি/পি.এস

ফেনী,পিতা হত্যা,রোমহর্ষক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close