‘ভোট হয়েছে ২৯ তারিখ মধ্যরাতে’

ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে তামাশার ও লজ্জার মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ৩০ তারিখে দেশে কোন ভোট হয়নি, ভোট হয়েছে ২৯ তারিখ মধ্যরাতে ।

তিনি বলেন, কোনো সুষ্ঠু স্বাধীন গণতান্ত্রিক জাতি এবং এদেশের মানুষও এটাকে মেনে নেয়নি।এটাকে নির্বাচন বলা যায় না।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিটা হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি বলেন, ভোট চুরি বলেন যাই বলেন, এরকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন এটা আমরা মনে করি না।

তিনি বলেন,আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে তিনি বিজয় উৎসবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে সর্মথন করতাম যদি তিনি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতেন।

তিনি আরও বলেন, ৩০ তারিখে ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছেন। পুলিশ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন পুলিশ তো সরকারী চাকরি করে। কেনো তাকে এরকমভাবে ব্যবহার করলেন। আপনারা র‌্যাব, ডিসি, এসপি ইএনও, টিএনও যারা মর্যাদাশীল, জাতির সামনে এতো ছোট করলেন কেনো? তাদেরকে কেনো বাধ্য করলেন তথাকথিত ভোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?

বিএনপির এই ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি গণতন্ত্রের আইনায় নিজেকে দেখেন। তাহলে দেখবেন আপনি স্বৈরাতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এই চেহারা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না, ৭১ সালের স্বাধীনতার সঙ্গে যায় না।

পিবিডি/জিএম