একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ হাজার ৪৩৯
একবছরে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৩ হাজার ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ২০১৮ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে নিসচা সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এসব তথ্য তুলে ধরেন।
সম্পর্কিত খবর
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৩৯ জন মানুষের প্রাণ গেলেও ৭ হাজার ৪২৫ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর ৭৪০ জন মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৭ সালের চাইতে ২৪৬ জন কমেছে।
নিহতদের মধ্যে গাড়ি চাপায় ১৩৮৫ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫৮৫ জন, উল্টে গিয়ে ২৫৩ জন, খাদে পড়ে ১৩৩ জন এবং অন্যান্যভাবে ৬৬৩ জন নিহত হয়েছেন।’
দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনের মধ্যে রয়েছে- ৮৭৯টি বাস, ৭৯৩টি ট্রাক, ৬৩৪টি মোটরসাইকেল, কাভার্ডভ্যান ১১৯টি, মাইক্রোবাস ৬৭টি, নসিমন ৫০টি, প্রাইভেটকার ৪৭টি ও মাহেন্দ্র ৩৮টি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গত বছরের তুলনায় আহতদের সংখ্যা এবার ৬ দশমিক ৫১ ভাগ কম বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অনেক ছোট ছোট দুর্ঘটনায় আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হয় যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হওয়ায় পরিসংখ্যানে আসে না।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছয়টি জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন ও টিভির স্ক্রল দেখে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। তবে অনেক আঞ্চলিক তথ্য অপ্রকাশিত রয়েছে, যা কোনো মিডিয়াতেই উঠে আসেনি। ইতোপূর্বে জাতীয় সড়ক নিরাত্তা কাউন্সিলের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন থেকে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে নিয়মিত কোনো তথ্য প্রদান না করায় সরকারিভাবেও কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি।
জেলা ভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ঢাকা ও তার আশেপাশে ৩৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৪৬, চট্টগ্রামে ১৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৯৯, গাজীপুরে ১২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০৫, ময়মনসিংহে ১০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৪৮, বগুড়ায় ১০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬৩। এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত লোকসংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিক্সার আলাদা কোনো লেন না থাকা, শহরের মধ্যে পোষাক কারখানা ও পথচারিদের নিয়ম না মানার প্রবণতাকে দায়ী করা হয়েছে।
পিবিডি/জিএম