ডাকবাংলোয় আটকে ইয়াবা খাইয়ে ধর্ষণ, সেই দুই পুলিশকে গ্রেফতার
ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। পরে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি করেন মামলার আসামি করা হয় এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুপারের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দীকীকে নিয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেন পুলিশ সুপার।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। দিনভর প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ওই তরুণী পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা রয়েছে। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাড়ি পটুয়াখালীতে। তিনি বাবার সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ায় থাকেন। তিনি জানান, গত বুধবার বিকেলে পূর্বপরিচিত এক নারীর সঙ্গে তিনি সাটুরিয়া থানায় যান। ওই নারী এসআই সেকেন্দার হোসেনের কাছে টাকা পান। থানায় যাওয়ার পরপরই সেকেন্দার তাদের থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে বসে পাওনা টাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময় এএসআই মাজহারুল উপস্থিত হন।
সেখানে একটি কক্ষে ওই তরুণীকে আটকে রাখা হয়। পরে দুই পুলিশ ইয়াবা সেবন করেন। তাকেও ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন দুই পুলিশ।
/পিবিডি/পি.এস