• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় চার্জশিট

অভিজিত হত্যার তদন্তেই চার বছর, পরিবার চায় দ্রুত বিচার

প্রকাশ:  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৮ | আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

বইমেলা থেকে ফেরার পথে লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে টিএসসি সংলগ্ন ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ নৃশংস ঘটনায় ঘাতকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা । অভিজিত হত্যার চার বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার চার্জশিট আদালতে এখনও দাখিল করেনি পুলিশ। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) দাবি, চার্জশিট তৈরি করে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    এ তথ্য নিশ্চিত করে সিটিটিসি’র উপপুলিশ কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান জানান, চার্জশিটে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা প্রস্তুবাই আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (আনসার আল ইসলাম) সদস্য। চার্জশিটটি বর্তমানে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছের।অনুমোদন পেলেই তা আদালতে দাখিল করা হবে।

    অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য পাঠানো চার্জশিটে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন গ্রেফতার আছে। দুজন পলাতক। গ্রেফতার চারজন হলো- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (সাংগঠনিক নাম সাকিব, সাজিদ, শাহাব), মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম- সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ) (২৪) এবং হত্যাকাণ্ডে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯)।

    মামলার দুই পলাতক আসামি হলো- হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) তার সাংগঠনিক নাম- সাগর ও বড় ভাই (৪২) এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩০)। অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হলেও এই হত্যার বিভিন্ন পর্যায়ে ১১ জন জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর বাইরে একজনের বিরুদ্ধে হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ রয়েছে।

    ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হলেও হত্যায় ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর পাঁচজন আসামির শুধু সাংগঠনিক নাম জানা যায়। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১১ জনের মধ্যে সকলের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঝয় জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখন পর্যন্ত। তারা হল- মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান শামস এবং আবু সিদ্দিক সোহেল। এই তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

    অভিজিৎ ও বন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় সে দেশের সংস্থা এফবিআই হত্যার তদন্তে সহায়তা করছে। সংস্থাটির প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ১৩টি আলামত পরীক্ষা করে রিপোর্টও দেয় এফবিআই।

    এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সিটিটিসি এই মামলার তদন্ত শুরু করে।

    অভিজিৎ হত্যার বিচার প্রসঙ্গে তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, আমরা খবর পেয়েছি মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। চাজশিট বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আদালতে পেশ করা হবে। মামলার তদন্ত শেষ করতেই লেগে গেল চার বছর, এটা দুঃখজনক। আদালত বিচারটা দ্রুত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    পিবিডি-এনই

    অভিজিৎ হত্যা,অভিজিৎ হত্যা মামলা
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close