• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১০ মার্চ ২০১৯, ২০:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তবে প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ভারসাম্য অনুকূলে থাকায় ব্যাংক ঋণ নেওয়া হয়নি এবং আগের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।

রোববার (১০ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তবে প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ভারসাম্য অনুকূলে থাকায় ব্যাংক ঋণ নেওয়া হয়নি এবং আগের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি উভয়ই গড় কমেছে। স্বাভাবিক সরবরাহ পরিস্থিতি, সহায়ক মুদ্রানীতি এবং বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের কম মূল্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রতিবেদনে বলেন, সরকারের গত দুই মেয়াদে আমরা আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ বহু মাইলফলক অতিক্রম করেছি। সরকার পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০০৭ থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘায়িত প্রভাব ও সময়ে সময়ে উদ্ভূত দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে প্রজ্ঞা ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। দেশে ধারাবাহিকভাবে ও উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির যথাযথ সমন্বয়, সার্বিক আর্থিক শৃঙ্খলা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুত উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিগত ১০ বছরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে।

এ প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত দুই মেয়াদে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের যে অভিযাত্রা ছিল তা অব্যাহত থাকবে কাঙ্খিত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত। আমাদের রয়েছে অকুতোভয়, সৃজনশীল ও কর্মঠ জনশক্তি। শেখ হাসিনার সাহসী, গতিশীল ও জনহিতৈষী নেতৃত্বের মাধ্যমে এই জনশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এবং সব মহলের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করবো। ২০৪১ নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি যে, সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী কৌশল ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবো।

পিবিডি/রবিউল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল,রাজস্ব আয়,প্রবৃদ্ধি,ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close