• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেশে বছরে নতুন ১ লাখ ৯ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়

প্রকাশ:  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, এক লাখ ৫৬ হাজার রোগী নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় এক লাখ ৯ হাজার রোগী মারা যায়। গতকাল কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট, বাংলাদেশ স্তনক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ও মার্চ ফর মাদার মোর্চার যৌথ উদ্যোগে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

‘ক্যান্সারের আর্থসামাজিক প্রভাব ও সবার জন্য ক্যান্সার সেবা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: লতিফা শামসুদ্দিন, গাইনি অনকোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: সাবেরা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস ও ক্যান্সার রোগতত্ত্ববিদ ডা: মো: হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার স্বপন কুমার বন্দোপাধ্যায়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে অন্যান্য রোগের মতো ক্যান্সার সেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার রোগী নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হয় এবং প্রায় এক লাখ ৯ হাজার রোগী মারা যায়।

তবে বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে শুধু সরকারের পক্ষে ক্যান্সার রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব নয়। বক্তারা একটি জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে এর আওতায় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মসূচি ও পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করে সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যেতে হবে।

তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা, প্রতিরোধের জন্য সঠিক পরিকল্পনার জন্য সঠিক পরিসংখ্যান দরকার। একমাত্র জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে হাসপাতালভিত্তিক নিবন্ধন চালু আছে কিন্তু জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন এখনো চালু করা যায়নি। এ কারণে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর হারসহ গুরুত্বপূর্ণ নিজস্ব পরিসংখ্যান নেই। সভায় জরুরি ভিত্তিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পপুলেশন বেইজড ক্যান্সার রেজিস্ট্রি চালুর দাবি করা হয়। ক্যান্সার চিকিৎসাসুবিধা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে আটটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে অনুমিত ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় সংযুক্ত হয় বলে একটি জরিপে দেখা গেছে।

অন্যদের স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও স্বল্পচিকিৎসায় সুস্থ করা সম্ভব। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে কোনো জাতীয় ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি নেই। বিএসএমএমইউর একটি প্রকল্পের অধীনে স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সারের স্ক্রিনিং চলছে। বক্তারা জাতীয়ভাবে স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার অন্তর্ভুক্ত করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত উপযুক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিজ্ঞানসম্মত সংগঠিত কর্মসূচি চালুর ওপর জোর দেন।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close