• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না মিয়ানমার

প্রকাশ:  ১৩ এপ্রিল ২০২২, ২২:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সচিবালয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এলিস ওয়াইরিমু এনদারিতু সহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক বাহিনীর সহিংসতার শিকার হয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এরপর থেকে তাদের ফেরাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এই প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের কোনো আগ্রহ না থাকায় তা বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক সরকার এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক তাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।

‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ ২০ হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতি বছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে জনমত গঠনে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ।’

সাক্ষাতে কক্সবাজারের শরণার্থী ও তাদের শিশুদের লেখাপড়া, ক্যাম্পসমূহের অতি ঘনবসতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।

এসময় প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশ কর্তৃক রোহিঙ্গাদের কারিগরিসহ শিক্ষার ব্যবস্থা নেয়ায় সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তারা আলোচনা করে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন তা গাম্বিয়া কর্তৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) এর বিচার কার্যক্রম সহায়তায় ভূমিকা রাখবে।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে গণহত্যার মামলা করে।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

রোহিঙ্গা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close