• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘হলি আর্টিজেনের ঘটনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছি বলেই দেশে পদ্মা সেতু হয়েছে'

প্রকাশ:  ০১ জুলাই ২০২২, ১৯:২৫ | আপডেট : ০১ জুলাই ২০২২, ১৯:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যেত না মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “তখন হয়তো দেশের চিত্রটা অন্যরকম হতো।

নিরাপত্তাজনিত কারণে বিদেশি প্রকৌশলীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে চাইতেন না।”

শুক্রবার (১ জুলাই) হলি আর্টিজান হামলায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত “দীপ্ত শপথ” ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, “এখনও কিন্তু তাদের (জঙ্গিদের) তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। আমরা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে মনিটর করছি। মাঝে মাঝে কিন্তু আপনারা দেখবেন, আমাদের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি) বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করছে। তাদের যে নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা সেটা শুরুতেই আমরা নস্যাৎ করে দিচ্ছি।”

২০১৬ সালের ১ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশান লেকের পাড়ে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা গুলি চালিয়ে এবং জবাই করে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে।

ওই রেস্তোরাঁয় নিহতদের মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানি নাগরিক, যাদের ছয় জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষার কাজে সে সময় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

হলি আর্টিজানে জিম্মি হয়ে পড়া দেশি-বিদেশিদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান। এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে পুরনো গুলশান থানা ভবনের সামনে “দীপ্ত শপথ” ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়।

সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, “বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার আফগান ফেরত মুজাহিদদের হাত ধরে। এরপর যখন ইরাকে আইএসের তৎপরতা শুরু হল তখন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের কিছু মানুষ কানাডাফেরত তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দলবদ্ধ হলেন।”

হলি আর্টিজান পরবর্তী সময়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “হলি আর্টিজানে হামলার পর বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট নামে বিশেষায়িত ইউনিট তৈরি করে। ওই ইউনিটের বেশিরভাগ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সেখান থেকে অস্ত্র ও তাদের যে প্রটেকটিভ গিয়ার সেগুলোও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের সরবরাহ করেছে। এইসব সরঞ্জাম পাওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে আমাদের সিলেট, মৌলভীবাজার এমনকি খুলনা বিভাগেরও কয়েকটি জেলাসহ যেখানেই আমরা খবর পেয়েছি... পুরো জঙ্গি নেটওয়ার্কে তখন যারা ছিল আমরা তছনছ করে দিয়েছি।”

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা সালাহউদ্দীন খানের পরিবারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই

হলি আর্টিজান,জঙ্গি হামলা,পদ্মা সেতু,ডিএমপি কমিশনার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close