• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মহানবমীতে অশুভশক্তি বিনাশের প্রার্থনায় ভক্তরা

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০২২, ২১:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন মহানবমীতে অশুভশক্তি বিনাশের প্রার্থনা করছেন ভক্তরা। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নবমীর দিনে বেলা ১১টায় শুরু যজ্ঞানুষ্ঠান।

অন্যদিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপগুলোতে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। এ দিন পূজার আনন্দ যেমন হয় তেমনি বিদায়ের সুরও বাজে।

রাজধানীর শাঁখারীবাজারে পূজা দিতে আসা তিথি নামে একজন ভক্ত বলেন, ‘আজ মায়ের কাছে মনভরে প্রার্থনা করেছি আমরা। শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করতে পারছি। আগামীতেও যেন এই অসাম্প্রদায়িকতা বজায় থাকে সেই প্রার্থনা করেছি। সেই সঙ্গে পরিবারের শান্তির জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি।’

এ দিন ষোড়শ উপাচারে দেবীর বন্দনা ও মহাস্নান-যজ্ঞ হয়। আর সন্ধ্যায় আরতি বন্দনায় ‘আনন্দময়ী’র অর্চনা করবেন ভক্তরা। করোনা মহামারি থেকে মুক্তজীবনে ফেরার প্রার্থনা করেছেন তারা।

শাঁখারীবাজার নববাণী পূজা কমিটির উপদেষ্টা বঙ্কিম সরকার বলেন, ‘বেলা গেলে ভিড় বাড়তে থাকবে। নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই। এ বছর আমরা প্রার্থনা করি সামনের বছরগুলোতে যেন এভাবেই পূজা করতে পারি। সবকিছুই খুব সুন্দরভাবে হচ্ছে। তাই আমরা আশাবাদী।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালন করতে পারছেন বলে মঙ্গলবার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন।

এ বছর বাংলাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮ মণ্ডপে উদযাপন করা হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব, যা গত বছরের চেয়ে ৫০টি বেশি। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা এ বছর ২৪২, যা গত বছরের থেকে ৬টি বেশি।

হিন্দু আচার অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা—এই তিন মিলে দুর্গোৎসব। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সারাদেশের মন্দিরে-মণ্ডপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথির মাধ্যমে শুরু হয়েছে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ত্রেতা যুগে রাম তার স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন। ব্রহ্মার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গার সাহায্যে রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন তিনি। দেবীর সেই আগমনের সময়ই দুর্গোৎসব। রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে এ পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা নামেও পরিচিত। আর মর্ত্যলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা হয় অকালবোধন।

শাস্ত্র বলছে, মহাসপ্তমীর দিন রবিবার হওয়ায় এবার দেবী দুর্গা এসেছেন হাতিতে। শাস্ত্রমতে গজ দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। তাই দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে; পূর্ণ হয় ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। পরিশ্রমের সুফল পায় মর্ত্যলোকের অধিবাসীরা। অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি নয়, ঠিক যতটা প্রয়োজন ততটা বর্ষণ।

বুধবার বিজয়া দশমী। মা দুর্গা পুত্র-কন্যাসহ কৈলাসে ফিরবেন নৌকায় চেপে। শাস্ত্রমতে, সপ্তমী বা দশমী বুধবার হলে দেবীর আসা বা যাওয়া নৌকায়। ফল ‘শস্য বুদ্ধিস্তথাজলম’ অর্থাৎ প্রবল বন্যা ও খরা দেখা যায়। নৌকায় মনোকামনা পূর্ণ হওয়া সূচিত হয়। ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতিবর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়।

মহানবমী,অশুভশক্তি,প্রার্থনা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close