‘নাসিম ওসমানের পরিবার সবসময় আ.লীগের জন্য অবদান রেখেছে’
নারায়ণগঞ্জের নাসিম ওসমানের পরিবার সবসময় আওয়ামী লীগের জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত মধুমতি সেতু এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলী হল থেকে ভার্চ্যূয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যা সেতু এটা নাসিম ওসমানের নামেই দিয়েছি কারণ সে আমার ভাই কামালের বন্ধু ছিলো এবং তার বাবা জোহা সাহেব আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তার দাদাও ওসমান সাহেব, বলতে গেলে আওয়ামী লীগের একটা ঘাঁটি ছিলো তার বাড়ি। কাজেই তাদের পরিবারটা সবসময় অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধে। এমনকি নাসিম ওসমানের বাবা জোহা সাহেদ ৭১ সালে যখন আমার মা এবং আমরা সবাই ১৮ নম্বর রোড বর্তমানে ৯ নম্বর রোড ধানমন্ডি বাসায় আমরা বন্দি, ১৬ ডিসেম্বর যখন পাক হানাদার বাহিনী সারেন্ডার করে তখন কিন্তু আমরা মুক্তি পাইনি। সে সময় জোহা সাহেদ ভেবেছিলেন আমরা বোধহয় মুক্তি পেয়েছি, তাই তিনি ওই রাস্তা দিয়েই আসেন। পাকিস্তানি সেনারা আমাদের ওই বাসায় গুলি করলে তার গায়েও লাগে। কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। তাকে আমি স্মরণ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যখন আমরা দিল্লিতে রিফিউজি, তখন তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, বন্দি ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন দিল্লিতে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে।
তিনি বলেন, ১৪ আগস্ট নাসিম ওসমানের বিয়ে হয়, বিয়েতে কামালও গিয়েছিলো, কামাল ফিরে আসে। ১৫ আগস্টের পর নবপরীণীতা স্ত্রীকে রেখেই সেই হত্যার প্রতিবাদ জানাতে চলে গিয়েছিলো ভারতে এবং সেখানে সে এই হত্যার প্রতিবাদ করে। সেসব কথা সবসময় আমি স্মরণ করি। যদিও একসময় সে আমাদের পার্টি করতো না, অন্য পার্টিতে গিয়েছিলো। কিন্তু আমার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ ছিলো এবং বড় বোন হিসেবে সবসময় আমাকে সম্মান করতো। তার একটা আকাঙ্খা ছিলো এই সেতুটার জন্য বারবার আসতো। যখন পার্লামেন্ট মেম্বার, তখনো বারবার আসতো আমার কাছে, বলতো আপা এই সেতুটা করে দেন। কিন্তু যখনই আমরা এই সেতুটা তৈরি করা শুরু করলাম, তখনই সে এই পৃথিবী থেকে চলে গেলো। কাজেই তার নামে আমি এই সেতুটা উৎসর্গ করেছি। সে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারী। কাজেই তার নামে এই সেতুটা করে দিয়ে তার স্মৃতিটাকে ধরে রাখতে চেয়েছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম