প্রাথমিকের ৪৭৭ শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিত
প্রাথমিকের ৪৭৭ শিক্ষককে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
২০১৬ সালে ৪ হাজার ৮২৫টি স্কুলকে সরকারি করা হয়। ওই সময় বাদ পড়েন অনেকে। পরে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নড়াইল ও কুষ্টিয়ার ৪৭৭ শিক্ষক নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে প্রথমে রুল জারি করা হয়। পরে ওই রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালে তাদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সম্পর্কিত খবর
সোমবার শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আওসাফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের লিভ অ্যালাউ হয়েছে। এতে ৪৭৭ জনের নিয়োগই আপাতত স্থগিত থাকবে।
আওসাফুর রহমান আরও বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপন ছিল এই জাতীয় স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক এবং চারজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে। এরমধ্যে কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলে তিনি তিন বছরের মধ্যে তা পূরণ করে নিবেন। অন্যথায় তার নিয়োগ বাতিল হবে। কিন্তু নিয়োগের জন্য টিএনও–এর সুপারিশ দরকার হয়। সুপারিশ না পেয়ে ৪৭৭ জন হাইকোর্টে রিট করেছিল।