এখন হাওয়া ভবনে ‘পাওয়া’ দিতে হয় না, ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুব শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা ব্যবসা করেন। এখন আর হাওয়া ভবনে ‘পাওয়া’ দিতে হয় না। কোনো কিছুই করতে হয় না।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
শেখ হাসিনা বলেন, একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো পদ্মাসেতু নিয়ে। দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিলো আমাদের ওপর। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা (অভিযোগকারীরা) প্রমাণ করতে পারেনি, কানাডার ফেডারেল কোর্ট বলেছে সব অভিযোগ ভুয়া। আমি বলেছি ‘নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু করবো’। এটা ছিলো কঠিন সিদ্ধান্ত। কারো কাছ থেকে সমর্থন পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু আমার সমর্থন হলো আমার জনগণ। তারা পাশে দাঁড়িয়েছিলো।
তিনি বলেন, আপনারা বিশ্বাস করবেনই না, তখন অনেকেই চেক পাঠিয়েছে, টাকা পাঠিয়েছে। আমাকে বলেছে, ‘আপনি পদ্মাসেতু করেন, আমরা আছি আপনার পাশে’। আমি সেই চেক ভাঙাইনি, রেখে দিয়েছি। বলেছিলাম ‘করবো’। আমরা পদ্মাসেতু করেছি। একটা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়ে গেছে।
দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ড দেড়শ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে ক্রয়মূল্যে। আর কত ভর্তুকি দেওয়া যায়। আর এ ক্ষেত্রে কেন দেবো। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে। করোনার সময় তো আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগে ১২ টাকা, সেখানে আমরা নিচ্ছি ছয় টাকা। তাতেই অনেক চিৎকার শুনি।
বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৫তম বড় অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর অনেকেই এটা ভাবতেই পারেনি যে, বাংলাদেশ এখানে আসতে পারবে। মাত্র ১৪ বছরে আমরা এ অর্জন সম্ভব করেছি। প্রবৃদ্ধি আট ভাগ পর্যন্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। করোনার কারণে এটা অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়। এরপর আরেকটা উৎপাত হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। ফলে উন্নত দেশগুলো আজকে অর্থনীতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূল্যস্ফীতিও অত্যধিক বেড়ে গেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম