দেশে ১৯ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ দেবো বলেছিলাম, দিয়েছি। আমরা যখন সরকার গঠন করি ৩৫ হাজার টন খাদ্য ঘাটতি ছিলো দেশে। আমরা কৃষিতে গবেষণার ওপর জোর দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ১৯ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। খাদ্য উৎপাদনের উপর জোর দিয়েছি।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা, বাংলাদেশও তা থেকে বিছিন্ন নয়। এত ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে বিশ্বে যেখানে মুল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, সেখানে আমরা যেখানেই যা পাচ্ছি, আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকে যে সব ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হয়, যতো টাকাই লাগুক আমরা কিন্তু তা আমদানি করছি।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, চিনি, গম ও ভুট্টা- সবই আমাদের আমদানি করতে হয়। আমরা কিন্তু টাকা-পয়সার দিকে তাকাচ্ছি না। মানুষের যাতে খাদ্য নিরাপদ থাকে, মানুষের জীবন সচল থাকে, সেই ব্যবস্থা আমরা নিতে পারছি। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিলো, তা কিছুটা এখন কমেছে, যেটা ভালো লক্ষণ আমরা মনে করি।
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতো কিছুর পরই প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের বেশি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট দক্ষ, এখন সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। বাংলাদেশের প্রত্যেকের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কাউকে আমরা বাদ দিচ্ছি না। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম