ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
‘আঘাতে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় জেসমিনের’
র্যাব হেফাজতে কোনো আঘাতে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত টিমের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের এই অধ্যাপক বিষয়টি জানান।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে রোববার বিকেলে জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ডা. কফিল।
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে।
আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।
র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, প্রতারণার অভিযোগে ৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় হাইকোর্ট জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে। এর মধ্যে আজ ময়নাতদন্ত টিমের প্রধান কফিল উদ্দিন জানান, নির্যাতনে নয়, মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
