• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আইনমন্ত্রী

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা শ্রমিকের আইনগত অধিকার

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ অধিকার বাস্তবায়নে শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষাবিধি পালন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমানে কেবল সরকার বা কারখানার মালিকপক্ষের ইচ্ছের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণকে কেবল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। এটি এখন কারখানা মালিকপক্ষের জন্য দায়বদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্র শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ ও শোভন রাখতে হবে, এটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নত বিশ্বের অভিমুখে যাত্রা করেছে, সেখানে পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বর্তমানে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পালনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

‘স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কলকারখানাগুলো জাতীয়করণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়োচিত সেই পদক্ষেপের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই বর্তমান সরকার দেশের সব খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত দেশের কাতারে সামিল হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করার বিষয়টি সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থাকে বাংলাদেশে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

‘এরই মধ্যে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা বেড়েছে কয়েকগুণ। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিকাশ লাভ করেছে। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বিস্তৃত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করাসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সম্মিলিতভাবে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগসহ সব অংশীজনের সম্মিলিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন আবশ্যক। শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শ্রমিক, মালিক, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন,আইনমন্ত্রী,অধিকার,শ্রমিক,কর্মক্ষেত্র,স্বাস্থ্যসেবা,আনিসুল হক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close