• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আবরার হত্যায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ক্লাসে ফেরায় বুয়েটে প্রতিবাদ

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৫৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি আশিকুল ইসলাম বিটু ক্লাসে যোগ দেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ওই শিক্ষার্থীর আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে বুয়েটের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের চারজনের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর ১২টার দিকে তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গিয়ে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান নেন।

তবে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি শিক্ষার্থীরা।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় আসামি রাশেদুল ইসলাম বিটুকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

এর আগে, অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদ ও বুয়েটে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এরমধ্যে ছিল, “ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না”, “হত্যাকারীর ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না”, “আবারার ফাহাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না”, “বিটু আবার ক্লাসে গেলে, ক্লাসে ফিরে যাবো না”।

এছাড়া এ কর্মসূচি থেকে তারা “আশিকুল ইসলাম বিটুর আজীবন বহিষ্কার চাই”সহ বিভিন্ন দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে, ২০২১ সালের ২২ মে বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ করায় রবিবার পর্যন্ত তিনি আর ক্লাসে আসেননি। কিন্তু রবিবার তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে আরেকটি ক্লাসে যোগ দেন।

এছাড়া ২০২১ সালে মে মাসে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে বিভাগের মাধ্যমে ক্লাসে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তখনও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ক্লাসে ফিরতে পারেনি আশিকুল ইসলাম বিটু।

বুয়েট,আবরার,ছাত্রলীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close