• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ডিজেল চালিত ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার!

প্রকাশ:  ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের শেষর দিকে প্রায় ১,০০০ মেগাওয়াটের ক্ষমতা সম্পন্ন ছয়টি ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের কথা ভাবছে সরকার।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দেশের চারটি বেসরকারি কোম্পানির ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো- বাংলা ট্র্যাকের ৩০০ মেগাওয়াট (যশোর ১০০ মেগাওয়াট এবং দাউদকান্দি ২০০ মেগাওয়াট), আগ্রেকোর ২০০ মেগাওয়াট (আওড়াহাটি ১০০ মেগাওয়াট ও ব্রাহ্মণগাঁও ১০০ মেগাওয়াট) এবং এপিআর এনার্জির প্যারাগাঁও ৩০০ মেগাওয়াট এবং বাঘাবাড়ী ২০০ মেগাওয়াট।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একটি উচ্চ-স্থানীয় সূত্র জানায়,৮০০ মেগাওয়াট ইতিমধ্যেই এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বন্ধ হয়েছে। এছাড়া অন্য ২০০ মেগাওয়াট আগস্টে বন্ধের সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র বলছে, এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হলে সরকারের প্রায় ২,২৫০ কোটি টাকার সাশ্রয় হবে।

বিপিডিবির ২০২১-২২ এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মোট গ্রিডের উৎপাদন ক্ষমতা ২২.৪৮২ মেগাওয়াট, এরমধ্যে ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ১,২৯০ মেগাওয়াট বা মোট ক্ষমতার প্রায় ৫.৭% অবদান রাখছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ পেতে প্রতি কিলোওয়াট-ঘন্টা খরচ ছিল ১৫৪.১১ টাকা, যেখানে গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে খরচ হতো ৩.৪৬ টাকা। কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে খরচ হতো ৯.১৭ টাকা এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে খরচ হতো ২২.১০ টাকা।

বিপিডিবির শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের রেট এবং ডিজেলের দাম উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে উৎপাদন খরচের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

তিনি জানান, সব বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) মার্কিন ডলারের হারের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে একটি চুক্তির আওতায় ডলারে সেই অর্থ পরিশোধ করা হয়।

ফলে মার্কিন ডলারের বর্তমান হার এবং ডিজেলের হার গণনা করা হলে ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ ২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে অনেক বেশি হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট শুল্ক ১৭২.৫ টাকার বেশি।

বর্তমান বাজারে ডলারের দাম ১০৯ টাকা, যেখানে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ছিল ৮৫ টাকা করে।

তিনি জানিয়েছেন, একইভাবে, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা। তারপরে ২০২১ সালের নভেম্বরে ৮০ টাকা এবং ২০২২ সালে আগস্টে এর দাম বেড়েছে ১১৪ টাকা।

সরকারি সূত্র জানায়, গত পাঁচ বছরে এই ধরনের দামি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের ১.০৩ বিলিয়ন ডলার বা ১১,২৮১.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ডক্টর এম তামিম বলেছেন, এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত

তিনি ইউএনবিকে বলেন, “ব্যয়বহুল ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে এভাবে এতোদিন রাখা অর্থহীন ছিল। সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সব ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া

বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close