আমদানি বাড়ায় কেজিতে ৬০ টাকা কমল কাঁচা মরিচের দাম

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বেড়েছে। এতে করে কেজিতে দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দুই দিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমায় খুশি বন্দরে কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
সম্পর্কিত খবর
এতে করে আমাদের কিনতে যেমন বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছিল, তেমনি মোকামে চাহিদা কমায় কিনতেও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। এতে করে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো কমেছে। এতে আমাদের কিনতে যেমন সুবিধা হচ্ছে টাকা কম লাগছে, তেমনি মোকামে পাঠাতেও ভালো হচ্ছে, মানুষ কম দামে খেতে পারছে।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে ভারতের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। এতে করে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। একইভাবে বন্দরের অনেক আমদানিকারক কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেছেন। যার ফলে দুই দিন আগে বন্দর দিয়ে তিন থেকে চার ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও গতকাল বন্দর দিয়ে এক দিনেই ১৩ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, এতে করে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে দাম বাড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে চারটি ট্রাকে ২৯ টন ৮৫ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ২৫ টন ২৪০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এই ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে ১০৫ টন ২০০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। এই ছাড়া কাঁচা মরিচ যেহেতু একটি কাঁচা পণ্য, গরম এবং বৃষ্টিতে দ্রুত পচে নষ্ট হয়ে যায়, তাই কাস্টমসের কার্যক্রম শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা খালাস নিতে পারেন, সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।