• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেশে ৮৭ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৮৭ শতাংশ নারী হেনস্তা, মৌখিক হয়রানি ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এডুকো পরিচালিত ‘বাংলাদেশে কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সিক্স সিজনস হোটেলে আয়োজিত সভায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এডুকোর কনসালট্যান্ট ইরফাথ আরা ইভা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি; ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও ময়মনসিংহের ভালুকায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭৬৮ কিশোর-কিশোরীর ওপর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণ করে ৮৮১ কিশোর-কিশোরী। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ কিশোরী এবং ৪০ শতাংশ কিশোর। তাদের গড় বয়স ১৫ বছর।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৮৭ শতাংশ কিশোরী হেনস্তা, মৌখিক হয়রানি ও যৌন হয়রানির শিকার। ৭৩ শতাংশ কিশোরী পারিবারিক ও বাল্যবিয়েজনিত উদ্বেগ, ৬৬ শতাংশ মানসিক আঘাত (ডিসরাপশন), ২২ শতাংশ শারীরিক আঘাত, ৬০ শতাংশ ট্রমা, ৫৫ শতাংশ ভয়ের অনুভূতির মধ্যে দিন কাটায়। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৬৯ শতাংশ কিশোরী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে, ২৬ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আখতার জলি, নারী অধিকার কর্মী শিপা হাফিজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনলাইনে শিশুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রকে সুরক্ষিত করার বিষয়টি ভাবতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে মানবাধিকার কমিশন কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আখতার জলি বলেন, শেলটার হোমের অপর্যাপ্ততা আমাদের একটি বড় দুর্বলতা। অনেকেই আশ্রয় হারাবার শংকায় আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। আমাদের দেশে নারী ও শিশু সুরক্ষায় যত আইন আছে, অনেক দেশেই এত আইন নেই। কিন্তু এত আইন করেও কিছু হবে না, যদি তা বাস্তবায়ন করা না যায়।

বক্তারা জানান, নারী ও শিশু সুরক্ষায় বাজেট একটি বড় বিষয়। কিন্তু শুধু বাজেট বা টাকা দিলেই হবে না। প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। নয়তো নারী ও শিশু নির্যাতন, কিশোরী হয়রানি বন্ধ হবে না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

শিকার,যৌন হয়রানি,নারী,শতাংশ,দেশ,প্রতিবেদন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close