প্রতিমা হামলা-ভাঙচুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ আসকের
ফরিদপুরে সম্প্রতি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর এবং বগুড়ার শেরপুরে শতাব্দীর প্রাচীন একটি মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলাকালে হামলা-ভাঙচুর ও দানবাক্সসহ পূজার সরঞ্জামাদি লুটপাটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় আসক।
সম্পর্কিত খবর
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা বাজারে রাতের আঁধারে সর্বজনীন মন্দিরের দুর্গা প্রতিমাসহ বিভিন্ন প্রতিমা ভাঙচুর এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বেলতা গ্রামে একটি মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলাকালে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফরিদপুরে প্রতিমা তৈরির মাটির কাজ চলছিল। এর আগে, ২০২১ সালেও রাতের আঁধারে এই মন্দিরের কালী প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। অপরদিকে শেরপুরে, পূজা-অর্চনা করার সময় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি এসে মন্দিরে হামলা চালায়। এছাড়া, মন্দিরটি উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। দৈনন্দিন পূজা-অর্চনা করতে যাওয়া পূজারিদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আসক জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্গাপূজার প্রাক্কালে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, প্রার্থনার স্থানে হামলার ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম