• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সাক্ষাৎকারে পিটার ডি হাস

ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমও যুক্ত হতে পারে

প্রকাশ:  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় গণমাধ্যমও যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪’র কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

পিটার ডি হাস বলেন, নির্বাচনে যারাই বাধা দেবে- সরকারি দল, বিরোধী দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারবিভাগের সদস্য কিংবা গণমাধ্যমকর্মী- সবার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

তবে কতোজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, এখানে সংখ্যা নয়, বার্তাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই আমরা এটা করছি।গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের পরিবারের সদস্যরাও ধারাবাহিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আসবে বলে জানান পিটার ডি হাস।

তিনি বলেন, মার্কিন ভিসানীতি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেন, শুক্রবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করবো না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য। আমি এটুকু বলতে পারি, এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে সার্বিক ঘটনা খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আমরা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সাক্ষাৎকার,পিটার ডি হাস,গণমাধ্যম,ভিসানীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close