এক্স-রেতে ধরা
বিমানবন্দরে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিললো ৩৫১৮ ইয়াবা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকস্থলীতে তিন হাজার ৫১৮ ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করার সময় মো. জাহেদ হোসেন (২৫) নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
আটক জাহেদ হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আ. গফুর।
সম্পর্কিত খবর
এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আটক জাহেদ হোসেন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস১৫৬ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এপবিএনের গোয়েন্দা দলের কাছে জাহেদের আচরণ সন্দেহজনক তাকে আটক করে। এরপর তাকে এপিবিনে অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পাকস্থলীতে ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে এবং চিকিৎসকের রিপোর্টে মো. জাহিদের পাকস্থলীতে ছোট ছোট প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিবিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাতেই তার পেট থেকে ৭২টি ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৩ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতি এক হাজার পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন।
এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, এর আগে গত ২৬ মে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে জাহেদকে মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়ে তিনি আবারো একই কাজ করতে গিয়ে আটক হন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম