• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের আগে হোক কিংবা পরে হোক সাম্প্রদায়িক সংঘাত হলে তার দায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে’। এখনো ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নেই এবং আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে তা যেন করি।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরাও এটাও বলেছি - মূলত বিষয়টা দেখবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা যখন সংশ্লিষ্ট হবে সেইটুকু পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে সরকারকে, ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যারা যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদেরকে অবহিত করবো। দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা যাতে না হয়।

সিইসি বলেন, আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেবো, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরকেও অনুরোধ করেছি যে, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখুন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখবো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয় এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। যদি এটা না হয় এর দায়ী দায়িত্ব তারাই বহন করবেন।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছি। আমরা আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত ও সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধ চাই। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছি।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মন্দিরে ভাঙচুর, হামলা খবর আসছে। বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতাও শুরু হয়েছে।

নির্বাচনী সহিংসতা আগের চেয়ে বেশি হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যালঘুদের রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী,সাম্প্রদায়িক,সংঘাত,কাজী হাবিবুল আউয়াল,প্রধান নির্বাচন কমিশনার,সিইসি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close