• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্বস্তির মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন, অসন্তুষ্ট যাত্রীরা

প্রকাশ:  ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

যানজটের নগরী হিসেবে পরিচিত ঢাকায় ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। আধুনিক এ গণপরিবহন চালুর পর থেকে এটির স্টেশনের স্থাপনা, সেবার মান ও অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলো নগরবাসী। তবে এরইমধ্যে মেট্রোরেলের কোচের ভেতরে পরিকল্পনাহীন বিজ্ঞাপন সাঁটানো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও আলোচনা-সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, কনকা ফ্রিজের বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমত ছেয়ে ফেলা হয়েছে মেট্রোরেলের কোচের ভিতরটা। শুধু তাই নয় মেট্রোরেলের আন্তঃ ও বর্হিগমন ডোরওয়ের গায়েও লাগানো হয়েছে এ সকল পোস্টার।

আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, মেট্রোরেলের একটি সেটের একটি কোচে কনকা ফ্রিজের কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে ঐ কোচে করে আসা অধিকাংশ যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

যাত্রীরা বলছেন, আয় বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন দিতে পারে, তবে যেখানে-সেখানে পোস্টার লাগিয়ে গণপরিবহনটির সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, বিশ্বের সব মেট্রোরেলেই বিজ্ঞাপন থাকে, কিন্তু সব কিছুরই একটা সৌন্দর্য থাকে। এই ছবিটা অনলাইন থেকে পাওয়া, এডিট করা মনে হচ্ছে না। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং বিজ্ঞাপনদাতা দুইজনেরই রুচিবোধ, ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিংয়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। মনে হচ্ছে ফার্মগেটে কোনো দেয়ালের ওপর পোস্টার লাগানো হয়েছে। এতো সুন্দর একটা উদ্যোগ, এভাবে নষ্ট করা উচিত না।

যাত্রীদের কাছে খারাপ লাগে এমন কিছু করা হবে না বলে জানিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানি সচিব (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছেন, যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে তা আমরা আরো বিস্তারিত দেখবো কেন সৌন্দর্যহানি হলো, কী করলে আরো ভালো হবে।

তিনি বলেন, আমরা আইন সম্মতভাবে মিডিয়া কমকে এক বছরের জন্য বিজ্ঞাপনের জন্য ট্রেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছি। আমাদের ডিসপ্লেতেও বিজ্ঞাপন প্রচার হবে। মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন- এটি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয়ের একটি উৎস। সারা বিশ্বেই এটা আছে। আয় না হলে যাত্রীদের ভাড়ার খরচ বেড়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কিছু শর্ত আছে জানিয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমরা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো কীভাবে এই শর্তগুলোকে যাত্রীবান্ধব হয়। কারণ যাত্রীদের জন্যই তো আমরা।

অনুমতি না নিয়ে বা জোর করে বিজ্ঞাপন দেয়া যায় না দাবি করে কনকার মূল প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার জুলহক হোসাইন বলেন, আমরা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই মিডিয়াকম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রো ট্রেনে ওই বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে খুব সমালোচনা হচ্ছে, এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে জুলহক হোসাইন বলেন, সমালোচনা হতেই পারে।

পূূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

যাত্রী,বিজ্ঞাপন,স্বস্তি,মেট্রোরেল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close