• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এইচএসসির ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকলো, সেটা খুঁজে বের করতে হবে

প্রকাশ:  ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ | আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচএসসিতে ছেলেরা কেন মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে থাকলো, সেটা খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

হরতাল-অবরোধ বা আন্দোলনকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের জানুয়ারিতে নির্বাচন করতে হবে। যার কারণে নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে নিতে বলেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে। তারপরও আপনারা দেখবেন, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা যাতে অব্যাহত থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা কারো রাজনীতির ওপর হস্তক্ষেপ করিনি। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে আমরা বাধা দেইনি। কিন্তু তারা যখন আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলো। বাস-ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এসব কাজের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবো, নাকি ব্যবস্থা নেবো? অনেকে আবার তাদের গ্রেপ্তার নিয়ে সমালোচনা করে। যারা এভাবে মানুষের জীবন নষ্ট করবে, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করবে, আমরা ছাড় দেবো না। ব্যবস্থা নেবো।

এসময় ফলাফলে কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা হয়তো ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের বলবো, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের সহানুভূতি দেখাতে হবে। সে যে পারে নাই, সেটার কারণ বের করে তাকে আরো মনোযোগী হতে উৎসাহী করতে হবে। তাকে ধমক বা গালমন্দ করা ঠিক হবে না। এটা আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, কাউকে ধমক বা গালমন্দ করবেন না। এগুলো কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলো নিতে পারে না। পরে তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। সমস্যা চিহ্নিত করে সেটি সমাধানে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে তারা ভালো করতে পারবে।

পাসের হার নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। এজন্য ধন্যবাদ তবে, ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকলো, এটা বের করতে হবে। কারণ লিঙ্গ সমতায় নজর দিতে হবে। ছেলেমেয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাক, আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ। জ্বালাও-পোড়াও এর মধ্যে যে আপনারা যথা সময়ে কাজটি করতে পেরেছেন এটি বড় ব্যাপার। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এটি করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, গবেষণার ওপর সবেচেয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। বিজ্ঞান শিক্ষায়ও আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ১২টি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কারিগরি শিক্ষায়ও যাতে ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসে, সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলাফলে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ আছে। এটা আমাদের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলেই হয়েছে বলে মনে করি। শিক্ষার প্রচারে সংসদ টেলিভিশনকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৪ সালের ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৮ সালে তারা এমন অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু পারেনি। পরে করোনা এসে আমাদের সবাইকে ভীতসন্ত্রস্ত করে দিলো। নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শিক্ষার গতি অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেই সময় সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, তখনো ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়ার রীতিটা ঠিক রাখা হয়েছে।

ফলাফল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ শিট পাবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

প্রধানমন্ত্রী,এইচএসসি,ফলাফল,হস্তান্তর,অনুষ্ঠান,শেখ হাসিনা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close