• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অনন্য, এশিয়ার জন্য অনুপ্রেরণা

প্রকাশ:  ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:০১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অনন্য, যা এশিয়ার অন্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ।

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের এ অগ্রগতির বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসাবে পাশে থাকতে চায়। মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও ভিসা জটিলতা দূরীকরণসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীন সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এছাড়া বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত জ্বালানি ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলে চীনা উদ্যোক্তারা সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল ইমেজ অব চায়না ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-বেইজিং রুটে সরাসরি ফ্লাইট আগামী বছর চালু হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ শক্তিশালী সম্পর্ক বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন শান্তিতে ভূমিকা রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধন চিরকাল অটুট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার একাধিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে নজরকাড়া।

তিনি বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে বাংলাদেশের পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে চীন। বাংলাদেশ যদি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়, তাহলে চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়। এছাড়া দুই জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। চীন ও বাংলাদেশ অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। চীন ও বাংলাদেশ যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হাত ধরে বিআরআইয়ের যাত্রার দশম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসাবে বাংলাদেশই প্রথম বিআরআইতে যোগ দেয়। গত সাত বছরে বিআরআই বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুুটিত হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলো একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে এবং অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূূর্ণ অবদান রেখেছে।

সেমিনারে বিষয়বস্তুর ওপর গবেষণা ও জরিপ প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর অল্টারনেটিভের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের পরিচালক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এসকে তৌফিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহাব ইনাম খান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন।

চীনের রাষ্ট্রদূত,ইয়াও ওয়েন,এশিয়া,বাংলাদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close