গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে সহযোগিতায় প্রস্তুত বাংলাদেশ
গাজার যুদ্ধে গণহত্যার মত অপরাধ ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরায়েলকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের প্রেক্ষিতে দেওয়া এই রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে, সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৪ সদস্য।
বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের প্রেক্ষিতে আইসিজে শুক্রবার যে রায় দিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, এ রায়কে আমরা ইতোমধ্যে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনি যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এ বিষয়ে যে কোনো সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। গাজার যুদ্ধে গণহত্যার মত অপরাধ ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরায়েলকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। তবে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের যে আদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা চেয়েছিল, তাতে সায় দেয়নি জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত। ১৭ বিচারকের এ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বলেছে, গাজা অভিযানে ইসরায়েলের বাহিনী যাতে গণহত্যার মত কিছু না ঘটায়, দেশটিকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
এই আদেশ বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এক মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে জমা দিতে বলা হয়েছে ইসরায়েলকে।
এ মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আইসিজেতে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। জরুরি ভিত্তিতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের আদেশ চাওয়া হয় সেখানে, যে অভিযানে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।