• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলা রাষ্ট্রদোহিতার সমান’

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মুহূর্তে অন্যতম আলোচিত বিষয় “শরীফার গল্প”। ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের এই অধ্যায়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ৭ম শ্রেণির ওই বইয়ের পাতা ছেঁড়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

এবার বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার এই ঘটনাকে রাষ্ট্রদোহিতার সমান বলে মন্তব্য করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত “মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সাম্প্রতিক ষড়যন্ত্র” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “সবাই আসিফ মাহতাবকে শিক্ষক হিসেবে সম্বোধন করলেও আমি তাতে একমত নই। তার কর্মকাণ্ড শিক্ষকসুলভ নয়। তিনি যা করেছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান।”

লিখিত বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, “লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে যে বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে, এগুলো মূল তর্ক নয়। যারা বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন, তাদের মূল বক্তব্য হলো ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি থাকতে পারবে না। তাদের ভাষায়, ইসলামে তৃতীয় লিঙ্গের কোনো স্বীকৃতি নেই। অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি না চাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আঘাত করা হয়েছে। সরকার যদি এর সঙ্গে সমঝোতা করে, তবে সেটা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করবে। আমরা শিক্ষায় এমন সাম্প্রদায়িকীকরণ, মৌলাবাদিতার আঘাত দেখতে চাই না।”

তিনি বলেন, “পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ এবং তথ্যগত ত্রুটি সম্পর্কে বিভিন্ন দৈনিকের কিছু প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে, যা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের ত্রুটি ধরা পড়লে তা সংশোধন করা যায় এবং করা উচিতও। পাঠ্যপুস্তকে এ ধরনের ত্রুটি কখনো কাম্য নয়।”

শাহরিয়ার কবীর বলেন, “গত ১৯ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব আলোচনার এক পর্যায়ে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের উপরোক্ত রচনাটি ছিঁড়ে ফেলে গণমাধ্যমের সামনে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনো কারণ নেই। তার এই কর্মকাণ্ডের পর ঝিম মেরে বসে থাকা হেফাজতরা এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক সংগঠন মাঠে নেমে পড়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আইন ও আদালত,শিক্ষক,শিক্ষার্থী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close