আইনমন্ত্রী: সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছর পরও শেষ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে তদন্তে সময় লাগতে পারে। এজন্য যতদিন সময় লাগবে, দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “পুলিশকে জোর করে তদন্ত শেষ করিয়ে চার্জশিট দেওয়ানো ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে, ৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে।”
সম্পর্কিত খবর
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে একের পর এক তারিখ বাড়ানো হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি।