জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত তহবিল জোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যাপ্ত তহবিল জোগানের বিকল্প নেই।
জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্ষিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে আয়োজিত ‘কারণ ও প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই’ শীর্ষক ফোরামে মন্ত্রী এ আহবান জানান। আজ শনিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
হাছান মাহমুদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের জোগান ক্রমেই কমে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে এ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ এ ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ পরিকল্পনা।
ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারা দেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি ও কর্মসূচি তুলে ধরেন তিনি।
ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে মনোযোগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় উপস্থিত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবার শেখ হাসিনা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সাতটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।