• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর: রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে

প্রকাশ:  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, “গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০ লাখের বেশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়েছে। এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝায় পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি।”

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী “থ্রু দ্য লেন্স অব হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “বছরে আমাদের এই খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। এছাড়াও তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসায় খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি শরণার্থীদের আগমনে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের সমাধানে না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে রেখেছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে,যার মধ্যে রয়েছে মাদক ও মানবপাচার।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি,যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড এবং বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।”

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর রিড জে একিলম্যান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এমএস সুম্বুল রিজভি,ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, অ্যাম্বাসি, জাতিসংঘ, আইএনজিও এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা,বাংলাদেশ,কক্সবাজার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close