• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি শিগগিরই

প্রকাশ:  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কিছু দিনের মধ্যেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখেছেন প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচার হয়তো অল্প দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি, শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব।”

নিহত সেনা সদস্যদের অনেক স্বজন বৃদ্ধ হয়েছেন। তারা আদৌ বিচার দেখে যেতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমিও সেটি বলি, যা কিছু হোক, যেন দ্রুত বিচার হয়। তবে কবে শেষ হবে, সেটা বিচারকরাই জানেন।”

তিনি বলেন, “আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই চূড়ান্ত। আমাদের আদালত এখন স্বাধীন, সে অনুযায়ী একটি ন্যায্য বিচার হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

তিনি আরও বলেন, “এখানে কারো গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি, এটা বিরাট হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরনের বিচারকার্য পারিচালিত হয়েছিল। তাই সময় লেগেছে।”

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

এ ঘটনার পর বিডিআরের নাম ও পোশাকে পরিবর্তন আনা হয়। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

পিলখানায় বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এ ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা, অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।

পরে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আট জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চার জনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। বর্তমানে মামলাটির শুনানি চলছে আপিল বিভাগে।

অন্যদিকে, বিস্ফোরক মামলায় এখনও সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে নিম্ন আদালতে। গত ১৫ বছরে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ২৭৩ জনের। এ মামলায় ১,১৬৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ বছরে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ২৭৩ জন। আরও প্রায় ১০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার কার্যক্রমের ইতি টানা হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ মামলার ৮৩৪ আসামির মধ্যে ৪৪ জন এরইমধ্যে মারা গেছেন। ১৯ আসামি পলাতক আছেন। ৭৭১ আসামি কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিডিআর বিদ্রোহ,আসাদুজ্জামান খান কামাল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close