স্বাস্থ্যমন্ত্রী: নিহতদের অধিকাংশই কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের শিকার
ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে ৩৫ জনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
বার্ন ইউনিটের সামনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বেইলি রোডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০টি ডেড বডি এবং ঢাকা মেডিকেল ৩৫টি আসে। আজকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে আইসিউতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৬ জন আমাদের জানা মতে মারা গেছেন।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কার্বন মনোক্সাইড পয়জনে মারা গিয়েছেন। এই পয়জন যাদের বেশি হয়েছে তারা কেউ বাঁচতে পারে নাই। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে তারা মারা গিয়েছেন। এখনও যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নয়। আমরা শুরু থেকেই তাদের ট্রিটমেন্ট করছি।”
বেইলি রোডের আগুনে কন্যাসহ ভিকারুননিসা শিক্ষকের মৃত্যুবেইলি রোডের আগুনে কন্যাসহ ভিকারুননিসা শিক্ষকের মৃত্যু আহতের সংখ্যা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছেন। ঢাকা মেডিকেলে আছেন দুইজন, মোট ১২ জন। আমাদের এখানে যারা আছে, সবাই দগ্ধ এবং তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।”
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় “কাচ্চি ভাই” রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। দ্রুতই আগুন উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরে থাকা লোকজন আতঙ্কে উপরে উঠে যায়। ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম দোলন।