মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনে মন্ত্রিসভার সায়
মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে, আইনটির বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নিষ্পত্তি করে পুনরায় আইনটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।
সম্পর্কিত খবর
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার আওতায় জাপান সরকার মাতাবাড়িতে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়ার জন্য উদ্বোধন করেছে। মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যাতে অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা যায়, যেখানে ডিপ সি ফ্যাসিলিটি থেকে শুরু করে উন্নয়নের বেসিক কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করে সামগ্রিক কিছু এরিয়াকে চিহ্নিত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন করা যায়, সে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
মহেশখালীর মাতারবাড়ির সমন্বিত উন্নয়নে আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয় থেকে কার্যক্রম চলছে। সমন্বিতভাবে এসব কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী এই কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। বোর্ডে অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে ১৭ সদস্য থাকবেন। চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে থাকবেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় হবে কক্সবাজারে। ঢাকায় লিঁয়াজো অফিস করা যাবে।
সচিব জানান, অথরিটির মূল কাজ হবে নির্ধারিত এলাকায় ভূমি ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করা। যাদের ভূমি দেওয়া হবে, তারা যেন যথাযথভাবে কাজ করে। মূল লক্ষ্য হবে—বিদেশি বিনিয়োগ করা। এক্সপোর্ট ও ইমপোর্টের নিট টাইম যেন কম হয়।
মহেশখালী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি থাকবে, জানিয়ে সচিব বলেন, যে এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান হবে, সেখানে যেন পরিবেশ সংরক্ষণ থাকে। লবণ চাষ, পান ও চিনির চাষও যেন সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।