স্ত্রীর সার্টিফিকেট বাণিজ্য নিয়ে ‘কিছুই জানেন না’ কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেছেন, “আমার স্ত্রী সেহেলি পারভীনের সার্টিফিকেট বাণিজ্যের ঘটনায় আমি কিছুই জানি না।”
সম্পর্কিত খবর
সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, “কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না। একটি ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।”
স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও জানি না।”
সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।”
২০ লাখ টাকা ঘুসের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।”
কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, “মিডিয়ায় শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।”
নিজের স্ত্রী বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি বিনা অপরাধেই সে গ্রেপ্তার হয়েছে।”
নিজের ওএসডি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”