• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আবজালের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল হোসেনের সব সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, আবজালের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করতে মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার এই নির্দেশ এসেছে।

সম্পর্কিত খবর

    এখন কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নে প্রণব বলেন, আমরা এখন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেব। তারাই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

    আবজলের উত্তরায় পাঁচটি বহুতল বাড়ি এবং আরো একটি নির্মাণাধীন বাড়ির তথ্য পেয়ে গত ১০ জানুয়ারি আবজলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবদ করে দুদক।

    এর মধ্যে জানা যায়, তিনি অস্ট্রেলিয়াতেও বাড়ি করেছেন রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো ২৪টি প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে আবজল দম্পত্তির। গত এক বছরে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ২৮ বারের বেশি সপরিবারে সফর করেছেন।

    দুদক উপপরিচালক শামসুল আলম আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগের তদন্ত করছেন। এরই মধ্যে তাদের দেশত্যাগে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    রুবানাও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। তবে বিত্ত বৈভব হওয়ার পর তিনি চাকরি ছেড়ে নিজেকে পোশাক ব্যবসায়ী পরিচয় দিচ্ছেন।

    দুর্নীতি অভিযোগ ওঠার পর আবজালকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কে পাশাপাশি দুটি ছয়তলা বাড়ি (নম্বর ৪৭ ও ৬২) রয়েছে আবজলের। আরও একটি বহুতল বাড়ির নির্মাণ চলছে পাশের ৪৯ নম্বর প্লটে। কাছাকাছি আরও একটি বহুতল বাড়ি আছে, যার নম্বর ৬৬।

    এই সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বরের ছয় তলা বাড়িটিও আবজল ও তার স্ত্রীর।

    দুদকের সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আবজাল জানিয়েছেন, স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও লাইসেন্স তৈরি করে টেন্ডার-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবছরই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জন্য শতকোটি টাকার কেনাকাটা হয়। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হওয়ায় তার পক্ষে টেন্ডার-বাণিজ্য করা কঠিন কিছু ছিল না। ২০ বছর ধরে এই কাজ করে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close